Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

চাকুরী জীবনের রীতিনীতি সম্পর্কিত

সরকারী কর্মকর্তা -কর্মচারীদের চাকুরী জীবনের রীতিনীতি সম্পর্কিত করণীয় ও বর্জনীয়

করণীয় বিষয়সমূহ                  (ক) ব্যক্তিগত আচরণ

১।       নিজের খেয়াল-খুশীমত কাজ না করা

২।       সংগঠনের স্বার্থে কাজ করা ।

৩।      টেলিফোনে আলাপ সংক্ষিপ্ত করা ।

৪।       একাগ্রচিত্তে কাজ করা ও মনোযোগী হওয়া ।

৫।       চাকুরীতে প্রবেশের পরপরই নিজ দায়িত্ব, কর্তব্য, অধিকার ও সুযোগ সুবিধা সম্পর্কে সম্যক ধারণা অর্জন করা ।

৬।      পরিবার-পরিজন ও নিকট আত্মীয়দেরকে বিধি বহির্ভূতভাবে কোন সুযোগ সুবিধা না দেয়া।

৭।       অফিসে কথা-বার্তা, হাঁটা-চলা,বসার মধ্যে পরিশীলতা ও সংযমবোধ বজায় রাখা ।

৮।      যে কোন ধরনের পোস্টিংয়ে হতাশ না হয়ে স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করা ।

৯।       সততা ও ন্যায়-নিষ্ঠার সাথে কাজ করে কর্মক্ষেত্রে নিজের যোগ্যতা ও দক্ষতা প্রমাণ করা ।

১০।     নীতি ও সততার প্রশ্নে নির্ভয়ে কাজ করা

১১।     নিজের গুণাবলীর উৎকর্ষ সাধন এবং বিকাশের জন্য সচেষ্ট থাকা ।

১২।     ব্যক্তিগত চাল-চলন এবং পোশাক-পরিচ্ছদে সজাগ দৃষ্টি রাখা ।

১৩।     কথায় ও কাজে মিল থাকা।

১৪।     ন্যায়পরায়ণ হওয়া ।

১৫।     সকল সময়ে প্রাণবন্ত ও হাসিখুশী থাকা ।

১৬।     কারও উপকার পেলে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা ।

১৭।     সকল সময়ে সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণ করা ।

১৮।     নিজের ভুল হতে পারে এরুপ মনোভাব পোষণ করা ।

১৯।     নির্মল চরিত্রের অধিকারী হওয়া ।

২০।     ভ্রমণকালে রুচিশীল পোশাক পরিধান করা ।

২১।     নিজের সুবিধা আদায়ের জন্য চাটুকারিতা না করা ।

২২।     সত্যবাদী এবং’ স্পষ্টবাদী হওয়া ।

২৩।     যে কোন পরিস্হিতিতে সহনশীল হওয়া ।

২৪।     ব্যক্তিগত ক্ষোভকে বশীভূত করা ।

 

(খ)      অধঃস্তন ও সমপর্যায়ের কর্মকর্তাদের প্রতি আচরণ

 

২৫।     অধঃস্তন কর্মকর্তা/কর্মচারীদের বিধি অনুযায়ী প্রাপ্য সুযোগ-সুবিধা দেয়া ।

২৬।     অধঃস্তনদের মতামতের এবং কাজের যথাযথ মূল্যায়ন করা ।

২৭।     অধঃস্তন কর্মকর্তা দাপ্তরিক কাজে ক্রটি করলে প্রশাসনিক পর্যায়ে তাকে আলাদাভাবেডেকে সংশোধনের জন্য বুঝিয়ে বলা ।

২৮।     দক্ষ লোককে কাজে লাগানো এবং কর্মবিমুখ ব্যক্তিকে কর্মোৎসাহী করার জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও প্রেষণার ব্যবস্হা করা ।

২৯।     অধঃস্তন কর্মকর্তাদের সাথে সৌহার্দমূলক ও সহমর্মিতামূলক আচরণ করা ।

৩০।     সহকর্মীকে তার সমস্যার ধরণ এবং সমস্যাগ্রস্ত সহকর্মীর পরামর্শ গ্রহণের ইচ্ছাকে প্রাধান্য দিয়ে সাহায্য করা।

৩১।     অধঃস্তনের কাজের সাফল্যে প্রশংসা করা ।

৩২।     কাজের ব্যাপারে অধঃস্তনদের যথাসম্ভব সহযোগিতা ও উপদেশ প্রদান করা ।

৩৩।    অধঃস্তনদের দক্ষ করে তোলার জন্য সহযোগিতা করা ।

৩৪।     অধীনস্তদের মাঝে কর্মবন্টন তদারকী করা ।

৩৫।     অধঃস্তনদের নিয়মিত প্রশিক্ষণ দিয়ে কাজের উপযোগী করে তৈরী করে নেয়া ।

৩৬।    প্রণোদনার মাধ্যমে অধঃস্তনদের মাঝে কর্মচাঞ্চল্য জাগিয়ে তোলা ।

৩৭।     কাজের সুবিধার্থে মাঝ মাঝে অধঃস্তনদের অফিস কক্ষে যাওয়া ।

৩৮।    প্রধান অফিসে কর্মরত থাকলে মাঠ পর্যায় থেকে আসা সহকর্মীর কাজ সর্বাগ্রে করে দেয়া ।

৩৯।     সহকর্মীদের ছুটি মঞ্জুরের ক্ষেত্রে সহানুভুতি প্রদর্শন কার ।

 

          (গ) আনুষ্ঠানিক সভা বা ভোজসভায় আচরণ

 

৪০।     পোশাকের ব্যাপারে সরকারী নির্দেশাবলী যথাযথভাবে অনুসরণ করা ।

৪১।     কোন আলোচনা বা মিটিং-এ সভাপতির অনুমতিক্রমে কথা বলা ।

৪২।     কোন আনুষ্ঠানিক সভায় বক্তার বক্তব্য ধৈর্য্য সহকারে শ্রবণ করা এবং তার বক্তব্য শেষ হওয়ার পর অনুমতিক্রমে তাকে প্রশ্ন করা ।

৪৩।     নিঃশব্দে খাওয়া ।

৪৪।     শিষ্টাচার ও শালীনতা বজায় রেখে আহার গ্রহণ করা ।

৪৫।     যথাসময়ে সভায় উপস্হিত থাকা ।

৪৬।     কোন কারণে সভায় না গেলে অপারগতার কারণ আগেই জানিয়ে দেয়া ।

৪৭।     সুচিন্তিত ও স্বচ্ছ মতামত প্রদান করা ।

৪৮।     কোন অনুষ্ঠানে বা সভায় একতরফা কথা না বলে অন্যকেও কথা বলার সুযোগ দেয়া ।

৪৯।     সভায় সাবলীল ও প্রাঞ্জলভাবে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য উপস্হাপন করা ।

                                                 

          (ঘ)      দাপ্তরিক কাজের দায়িত্ব পালনে

 

৫০।     অর্পিত দায়িত্ব সম্পর্কে মনোযোগী হওয়া ।

৫১।     চাকুরীর রীতি-নীতি মেনে চলা ।

৫২।     কর্মক্ষেত্রে কর্মোপযোগী পরিবেশ বজায় রাখা ।

৫৩।     কাজের প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি থাকা ।

৫৪।     কাজ সম্পাদনের ক্ষেত্রে ঐক্যবদ্ধ এবং আন্তরিক হওয়া।

৫৫।     যে কাজ সম্পাদন করা হচ্ছে সময়ে সময়ে তা পর্যালোচনা করা ।

৫৬।     অফিসে সময়মত উপস্হিত হওয়া ।

৫৭।     গুরুত্বপূর্ণ কাজকে অগ্রাধিকার দিয়ে প্রতিদিনের কাজ প্রতিদিন শেষ করা ।

৫৮।     কর্মকর্তা হিসেবে মাথা ঠান্ডা রেখে অফিসে কাজ করা ।

৫৯।     কারও ব্যক্তিগত জীবনের বিষয়কে অফিসের সাথে সম্পৃক্ত না করা ।

৬০।     সময়ের কাজ সময়ের মধ্যে শেষ করা ।

৬১।     পরিদর্শনের কাজকে যথাযথ গুরুত্ব দেয়া ।

৬২।     প্রতিটি কাজে মাত্রাজ্ঞান রাখা ।

৬৩।    দাপ্তরিক কাজের গোপনীয়তা রক্ষা করা ।

৬৪।     নতুন কর্মস্হলে সময়মত যোগদান করা ।

৬৫।     দায়িত্ব গ্রহণের সময় কাজের পরিধি সম্পর্কে জ্ঞাত হওয়া ।

৬৬।    অসমাপ্ত কাজের তালিকা প্রণয়ন ও সমাধানের উদ্যোগ গ্রহণ করা ।

৬৭।     প্রশাসনিক শৃংখলা রক্ষায় সর্বদা সতর্ক থাকা ।

৬৮।    Chain of Command এর বিষয়ে নিজে শ্রদ্ধাশীল হওয়া ও অপরকেও উৎসাহিত করা ।

৬৯।     যে কোন সিদ্ধান্ত দেয়ার ক্ষেত্রে অহেতুক তাড়াহুড়া না করা ।

৭০।     দাপ্তরিক চিঠিপত্র স্বাক্ষরের জন্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তার নিকট নির্ভুলভাবে উপস্হাপন করা ।

৭১।     কর্মচারীদের মধ্যে কোন অসন্তোষ বিরাজ করল তা সুষ্ঠুভাবে সমাধানের চেষ্টা করা।

৭২।     অফিসে বিলম্ব হলে উপযুক্ত কারণ ব্যাখ্যা করা ।

৭৩।     দক্ষ ও সৎ কর্মীকে পুরস্কৃত করা ।

৭৪।     টীম এর মনোভাব নিয়ে কাজ করা ।

৭৫।     সহকর্মীদের কাজের গঠনমূলক সমালোচনা করা ।

৭৬।     সুস্পষ্ট ভাষায় আদেশ দান করা ।

৭৭।     সরকারী পত্র লেখার ক্ষেত্রে যথাযথ ভাষা প্রয়োগ করা ।

৭৮।     নাতিদীর্ঘ পত্র লেখা ।

৭৯।     চিঠিতে প্রাপকের নাম ও ঠিকানা সঠিকভাবে লেখা ।

৮০।     দেশের ভিতর ভ্রমন হলে ভ্রমণসূচী পূর্বে জানানো ।

৮১।     অফিসের আর্থিক ব্যবস্হাপনায় স্বচ্ছতা প্রদর্শন করা ।

 

          (ঙ) রাষ্ট্রের প্রতি দায়িত্ব পালন

 

৮৩।    দেশ ও জাতির স্বার্থে সাহসের সাথে কাজ করে যাওয়া ।

৮৪।     প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য অর্জনে ইতিবাচক পরিকল্পনাএবং তাবাস্তবায়নে সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা।

৮৫।     সাহসের সাথে পরিস্হিতি মোকাবিলায় উদ্যোগী হওয়া ।

৮৬।    উপস্হিত বুদ্ধি দ্বারাযে কোন পরিস্হিতি মোকাবিলা করা ।

৮৭।     আইন ও বিধি-বিধান মেনে চলা ।

৮৮।    দৃঢ়তার সাথে সরকারী নীতি বাস্তবায়ন করা ।

৮৯।     নীতি বাস্তবায়নে মানবিক ও কৌশলী হওয়া ।

৯০।     দোষী কর্মীর সংশোধনের ব্যবস্হা করা ।

৯১।     কাজকে গতিশীল করার জন্য নতুন-নতুন উপায় উদ্ভাবন করা ।

৯২।     জনসেবামূলক মনোভাব পোষণ করা ।

৯৩।     জাতীয় ও আন্তর্জাতিক রাজনীতি ও অর্থনীতি সম্পর্কে নিয়মিত পড়াশুনা করা ।

৯৪।     আমানত রক্ষা এবংওয়াদা পালন করা ।

৯৫।     বিধিসম্মতভাবে সরকারী অর্থ খরচ করা ।

৯৬।     সরকারী অর্থ খরচের হিসাব ও ভাউচার যথাযথভাবে সংরক্ষণ করা ।

 

          (চ) সরকারী সম্পত্তি ব্যবহার

 

৯৭।     সরকারী যানবাহন ব্যবহারে যত্নবান হওয়া এবং তাব্যবহারের সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কে সম্যক ধারণা রাখা ।

৯৮।     সার্কিট হাউজে সঠিকভাবে ভাড়া পরিশোধ করা ।

৯৯।     সার্কিট হাউজে অবস্হানকালে সরকারী দ্রব্যাদি যত্নসহকারে ব্যবহার করা ।

১০০।   সরকারী সম্পত্তি যথাযথ হেফাজত করা ।

১০১।   অফিসের সম্পত্তি বাসায় না নেয়া ।

 

          (ছ) সাধারণ জনগণের প্রতি আচরণ

 

১০২।   একজন সরকারী কর্মকর্তা বা কর্মচারী সবার প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করবেন ।

১০৩।   জনসাধারণনের প্রতি মনোযোগ ও গুরুত্ব প্রদর্শন করা ।

১০৪।   সকলের সাথে ব্যবহারে বিনয়ী হওয়া ।

১০৫।   অপেক্ষারত সাক্ষাৎপ্রার্থী সামনে বসে থাকলে ফোনে কথা সংক্ষিপ্ত করে তার সাথে কথা বলা।

১০৬।   দর্শণার্থীদের সমস্যা মনোযোগ সহকারে শুনে সমাধানের জন্য সম্ভাব্য প্রচেষ্ঠা করা ।

১০৭।   নিজেকে জনগণের সেবক মনে করা ।

 

(জ) উর্ধ্বতন ও নিয়ন্ত্রণকারী কর্মকর্তার প্রতি আচরণ

 

১০৮।   একজন জুনিয়র কর্মকর্তাকে তাঁর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার ন্যায়সংগত ও আইনানুগ আদেশ মেনে চলা ।

১০৯।   উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ভুল ধরিয়ে দিলে জুনিয়র কর্মকর্তার উচিৎ ভুল শুধরিয়ে নেয়া ।

১১০।   উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের চেম্বারে ঢুকলে বা অফিসের অন্যত্র দেখা হলে প্রথমেই ছালাম দেয়া এবং সৌজন্যমূলক আচরণ করা ।

১১১।    উর্ধ্বতন কর্মকর্তার সাথে শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় ও প্রাসংগিক কথা বলা ।

১১২।   জরুরী কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে নিয়মিতভাবে অবহিত করা ।

১১৩।   হাঁটার সময় যথাযথ দূরত্ব বজায় রেখে উর্ধ্বতন কর্মকর্তার পাশাপাশি হাঁটা ।

১১৪।    সিনিয়রদের সাথে অযথা তর্ক না করে বিনয় ও শ্রদ্ধার সাথে নিজের মতামত তুলে ধরা ।

১১৫।   উর্ধ্বতন কর্মকর্তার পরামর্শ গ্রহণের মানসিকতার উপর নির্ভর করে তাকে প্রয়োজনে পরামর্শন দিয়ে সহযোগিতা করা ।

১১৬।   উর্ধ্বতন কর্মকর্তার সাথে অধঃস্তন কর্মকর্তার সাক্ষাতের ক্ষেত্রে এমন কোন প্রতিবন্ধকতা না রাখা যার ফলে দাপ্তরিক কাজের গতি ব্যাহত হয় ।

১১৭।    অফিস চলাকালীন সময়ে জরুরী প্রয়োজনে বস এর অনুমতি নিয়ে অফিস ত্যাগ করা ।

১১৮।   নিয়ন্ত্রণকারী কর্মকর্তার প্রতি অনুগত থাকা ।

১১৯।   ভাল কাজের দ্বারা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আস্হা অর্জন করা ।

১২০।   উর্ধ্বতন অফিসার অফিস কক্ষে এলে দাঁড়িয়ে সম্মান জানানো ।

১২১।   নিয়ন্ত্রণকারী কর্মকর্তা ডেকে পাঠালে যথা সম্ভব দ্রুত হাজির হওয়া ।

১২২।   উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বেআইনী আদেশ দিলে বা কাজ করতে বললে নিজের বুদ্ধি –বিবেচনা বিনয় ও দৃঢ়তা নিয়ে সে কাজ থেকে বিরত থাকা এবং বিনয়ের সাথে অপারগতা জানানো ।

 

          (ঝ) শিষ্ঠাচার

১২৩।   পরিবেশ পরিস্হিতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ আচার-আচরণ মেনে চলা ।

১২৪।   সকলের সাথে পরিমার্জিত ব্যবহার করা ।

১২৫।   সহকর্মীদের প্রতি সহনশীল ও সহমর্মী হওয়া ।

১২৬।   সহকর্মীদের মধ্যে সম্পর্ক দুদৃঢ় রাখার জন্য জ্যেষ্ঠ, কনিষ্ঠ ও সমমর্যাদার কর্মকর্তাদের সাথে সৌজন্য বজায় রেখে আচরণ করা ।

১২৭।   চাকুরীর নিয়ম-শৃংখলা সঠিকভাবে মেনে চলা ।

১২৮।   পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ বজায় রাখা ।

১২৯।   মহিলা সহকর্মীদের যথাযথ সম্মান করা ।

১৩০।   কর্মস্হলের পরিচ্ছন্নতার প্রতি লক্ষ্য রাখা ।

১৩১।   যানবাহনে চালক ও আরোহীদের সাথে ভদ্র ব্যবহার করা ।

১৩২।   কাজের স্বার্থে অপছন্দনীয় ব্যক্তির সাথে কৌশলের অংশ হিসেবে শালীনতা বজায় রাখা ।

১৩৩।   মহিলা ও পুরুষ সহকর্মীদের সমান গুরুত্ব দেয়া ।

১৩৪।   সকল সময় সংযম প্রদর্শন করা ।

১৩৫।   মহিলাদের অযথা বেশী গুরুত্ব না দেয়া ।

১৩৬।   নতুন কর্মস্হলে যোগদানের পর পরই সেখানকাল উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করা ।

১৩৭।   নতুন অফিস যোগদানের পর অন্যান্য সহকর্মীর সাথে সাক্ষাৎ করা ।

১৩৮।   সকলের সাথে ব্যবহারে ভদ্রোচিত ভাষা প্রয়োগ করা ।

১৩৯।   পরিবহনে মহিলাদের আগে উঠতে দেয়া ।

১৪০।   ভ্রমণকালে সহযাত্রীদের অসুবিধার দিকে নজর রাখা এবং প্রয়োজনে অন্যকে সাহায্য করা ।

১৪১।    ভ্রমণ শেষে সহযাত্রীদের কাছ থেকে সৌজন্য বিদায় নেয়া ।

১৪২।   ফোন রিসিভ করে প্রথমেই নিজের পরিচয় দেয়া এবং শ্রোতা কথা বলার মত সময় দিতে পারেন কি না তা জানা ।

১৪৩।   ফোনে সালাম দিয়ে কথা শুরু করা এবং সালাম দিয়ে শেষ করা ।

১৪৪।    ব্যস্ততার কারণে কাউকে সাক্ষাৎকার দিতে না পারলে বিনয়ের সাথে তা জানিয়ে দেয়া ।

১৪৫।   কাজ শেষে সহকর্মীকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা ।

১৪৬।   সহকর্মীদের বিপদে সহানুভূতি প্রদর্শন করা ।

১৪৭।    অসুস্হ সহকর্মীকে দেখতে যাওয়া ।

 

(ঞ)    সামাজিক দায়িত্ব

১৪৮।   দাপ্তরিক ক্ষমতার সতর্ক ও সুষ্ঠু প্রয়োগ ।

১৪৯।   ধর্মীয় বিষয়ে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ থাকা ।

১৫০।   ছুটিতে গ্রামের বাড়ীতে গেলে প্রতিবেশীদের খোঁজ খবর  নেওয়া ।

১৫১।   সকলের সাথে সদ্ভাব বজায় এবং সতর্কতার সাথে বন্ধু নির্বাচন করা ।

১৫২।   সামর্থ্য অনুযায়ী সামাজিক দায়িত্ব পালন করা।

১৫৩।   সামাজিক সমাবেশে নিজের উদ্যোগে পরস্পর পরিচিত হওয়া ।

১৫৪।   ব্যক্তিগত পর্যায়ের সকল ঘরোয়া অনুষ্ঠান সহজভাবে সম্পন্ন করা ও বাহুল্য খরচ না করা ।

১৫৫।   সততা ও কর্মদক্ষতা দ্বারা সকলের কাছে আদর্শবান হওয়া ।

১৫৬।   বিজ্ঞজনদের সাথে পরামর্শ করা ।

১৫৭।   ভ্রমণে স্হানীয় রীতিনীতি ও সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া ।

১৫৮।   নিজস্ব সার্ভিস ক্যাডারের ভাবমূর্তি রক্ষার জন্য সচেতন থাকা ।

১৫৯।   গরীবদের প্রতি সহমর্মিতা পোষণ করা ।

 

বর্জনীয় বিষয়সমূহ

(ক) ব্যক্তিগত আচরণ

১।       নিজের খেয়াল-খুশীমত কাজকরা ।

২।       নিজ প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের স্বার্থবিরোধী কাজ করা ।

৩।      একজন কর্মকর্তা/কর্মচারীর মর্যাদা ক্ষুন্ন হতে পারে এমন ধরনের অস্বাভাবিক আচরণ করা।

৪।       টেলিফোন এর অপব্যবহার করা ।

৫।       ছাত্র জীবনের মেধা নিয়ে অহংকার করা ।

৬।      কাজের প্রতি অবহেলা, শিথিলতা ও তাচ্ছিল্য প্রদর্শন করা

৭।       নিজ দায়িত্ব/কর্তব্য সম্পর্কে অস্পষ্ট ধারনা রাখা।

৮।      অফিসের কাজে পরিবার-পরিজন দ্বারা প্রভাবিত হওয়া।

৯।       কথাবার্তা, হাটাচলার মধ্যে অপরিশীলিত ও অসংযোম বোধ।

১০।     বদলী বিষয়ে তদবীর করা।

১১।     সৎ নীতিবান কর্মকর্তার হিসেবে নিজের অহংকার প্রকাশ বা অন্যকে হেয় মনে করা।

১২।     নীতি ও সততার প্রশ্নে আপসকরা।

১৩।     নিজের যে গুণ আছে তার উৎকর্ষ সাধনে অবহেলা করা।

১৪।     মিথ্যা কথা বলা।

১৫।     ব্যক্তিগত ক্ষোভ এবং আক্রোশের কারণে সুযোগ পেলেই অধঃস্তন কর্মকর্তা বা কর্মচারীকে বকাবকি করা।

১৬।     ধর্ম নিয়ে গোড়ামি বা কুসংস্কারাচ্ছন্ন মনোভাব পোষন করা।

১৭।     সহকর্মীদের সাথে সম্পর্কের অবনতি ঘটে এমন আচরণ করা ।

১৮।     ব্যক্তিগত চাল-চলন ও পোষাক পরিচ্ছদের প্রতি উদাসীনতা প্রদর্শন করা।

১৯।     কথায় ও কাজে অসহনশীলতা প্রর্দশন করা।

২০।     অফিস সহকর্মীদের কাছ থেকে টাকা ধার নেয়া ও ফেরৎ না দেয়া।

২১।     দায়িত্বহীন ও বেফাস কথা বলা ।

২২।     অফিসে বসে নিজস্ব ব্যবসায়িক /উপদেষ্টামূলক কাজ করা ।

২৩।     সহকর্মীদের ব্যক্তিগত দুর্বলতার স্হানে আঘাত করে কথা বলে ।

২৪।     আত্মপ্রচার করা ।

২৫।     ভ্রমণকালে যানবাহনে ভাল সীট দখল করা এবং অন্যদের অসুবিধা করা ।

২৬।     চাটুকারিতা করা ।

          (খ) অধঃস্তন ও সমপর্যায়ের কর্মকর্তাদের প্রতি আচরণ

২৭।     অধঃস্তনের সাথে অমানবিক আচরণ করা ।

২৮।     অধঃস্তনদের মতামতের এবং কাজের যথাযথ মূল্যায়ন না করা ।

২৯।     অদক্ষ লোককে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব প্রদান করা ।

৩০।     অধঃস্তনদের প্রতি অসৌজন্যমূলক আচরণ করা ।

৩১।     অধঃস্তন কর্মকর্তাকে প্রকাশ্যে /অন্যের সামনে বকাবকি করা ।

৩২।     কোন সহকর্মীর অনুপস্হিতিতে তার সমালোচনা বা নিন্দা করা ।

৩৩।    প্রয়োজন ব্যতীত কর্মকর্তাদের নিজের রুমে ডেকে দাপ্তরিক কাজের ক্ষতি করে গল্পের জন্য বা চায়ের আড্ডায় বসিয়ে রাখা ।

৩৪।     অধঃস্তন সহকর্মীর কাজের সাফল্যে ঈর্ষা করা ।

৩৫।     অধঃস্তনদের প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শন করা ।

৩৬।    অধীনস্তদের কাজের তদারকী না করা ।

৩৭।     উদ্দেশ্যমূলকভাবে অন্যের ক্রুটি খোঁজা ।

৩৮।    অফিসে ধুমপান করা ও পান চিবানো ।

৩৯।     অফিসের নিম্নপদস্হ কর্মচারীকে ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করা ।

৪০।     অফিসের বেয়ারাদের অযথা ডাকাডাকি করা ।

৪১।     অফিসের রুটিন কাজে অযথা তাড়াহুড়া করা ও টেনশন সৃষ্টি করা ।

৪২।     অধঃস্তনদের অবহেলা করা ।

 

          (গ) আনুষ্ঠানিক সভা বা ভোজসভায় আচরণ

 

৪৩।     অফিসে রং-বেরং এর পোশাক পরিধান করা ।

৪৪।     কোন সভায় সভাপতির অনুমতি ব্যতিত কথা বলা ।

৪৫।     কোন অনুষ্ঠানে প্রশ্নকর্তার বক্তব্য শেষ হওয়ার আগেই তাকে থামিয়ে বিরক্তিসহকারে বক্তব্য রাখা বা প্রশ্ন করা ।

৪৬।     শব্দ করে খাওয়া ।

৪৭।     কোন অনুষ্ঠানে নিজের খাওয়ার প্লেট অপরিচ্ছন্ন রেখে আসা বা খাওয়া নষ্ট করা ।

৪৮।     যথাসময়ে সভায় উপস্হিত না হওয়া ।

৪৯।     কারণ না জানিয়ে সভায় অনুপস্হিত থাকা।

৫০।     দায়িত্বহীন, অপ্রয়োজনীয়, অপরিপক্ক মতামত প্রদান করা ।

৫১।     একতরফা কথা বলে বা বক্তব্য দ্বারা অন্যকে বিরক্ত করা ।

৫২।     সভায় বসে আশে-পাশে কথা বলা ।

৫৩।     উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক আমন্ত্রিত না হয়ে কোন অনুষ্ঠানে গমন করা ।

৫৪।     উর্ধ্বতনের সাথে অপ্রয়োজনীয় সাক্ষাৎকার করা ।

 

          (ঘ) দাপ্তরিক কাজে দায়িত্ব

 

৫৫।     অর্পিত দায়িত্বের প্রতি মনোযোগী না হওয়া ।

৫৬।     কর্মজীবনে চাকুরীর রীতিনীতি অমান্য করা ।

৫৭।     কর্মক্ষেত্রে নিজের ব্যবহার দ্বারা পরিবেশ নষ্ট করা ।

৫৮।     কাজের প্রতি নেতিবাচক মনোভাব দেখানো ।

৫৯।     কাজ সম্পাদনের ক্ষেত্রে শিথিলতা ও অসহযোগী মনোভাব থাকা ।

৬০।     জরুরী কাজ অসম্পাদিত অবস্হায় ফেলে রাখা ।

৬১।     নানা অজুহাতে প্রতিদিন অফিসে দেরীতে আসা ।

৬২।     ফাইল আটকে রেখে কাজের প্রতি অবহেলা প্রদর্শন করা ।

৬৩।    অনর্থক কথায়-কথায় অধঃস্তনদের সাথে রাগারাগি এবং মনোঃকষ্টদায়ক আচরণ করা ।

৬৪।     সহকর্মী উর্ধ্বতনই হোক বা অধঃস্তনই হোক তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে অফিসে আলোচনা করা ।

৬৫।     বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া অফিস সময়সূচীর পর অফিসে বা নিজ বাসভবনে কর্মকর্তাদের নিয়ে অফিসের কাজ করা ।

৬৬।    পরিদর্শনের বিষয় অবহেলা করা ।

৬৭।     যে কোন কাজের ক্ষেত্রে বাড়াবাড়ি করা ।

৬৮।    দাপ্তরিক কাজ বা গোপন তথ্য নিয়ে অফিসের বাইরে বা বাড়ীতে আলোচনা ।

৬৯।     নতুন কর্মস্হলে যোগদান করতে অহেতুক বিলম্ব করা ।

৭০।     নিজস্ব কাজের পরিধি সম্পর্কে জ্ঞাত না হওয়া ।

৭১।     দীর্ঘদিন কোন অসৎ উদ্দেশ্যে কাজ ফেলে রাখা ।

৭২।     অহরহ মিথ্যা কথা বলা এবং সহকর্মীদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা ।

৭৩।     অফিসের Chain of Command ভংগ করা ।

৭৪।     ফাইল অহেতুক আটকে রাখা ও সিদ্ধান্ত দিতে বিলম্ব করা ।

৭৫।     উর্দ্ধতন কর্মকর্তার নিকট নথি উপস্হাপনে অমনোযোগী হওয়া ।

৭৬।     কর্মচারীদের মধ্যে উপদলীয় কোন্দল সৃষ্টি করা ও ঝগড়া, মারামারি বা ধ্বংসাত্বক কাজে উৎসাহ দান করা ।

৭৭।     অফিসের কাজে সিদ্ধান্ত প্রদান এড়িয়ে চলার মনোভাব প্রদর্শন করা ।

৭৮।     ব্যক্তিগত দায়িত্ব অন্যের ঘাড়ে চাপিয়ে দেয়ার মনোভাব প্রদর্শন করা ।

৭৯।     বস-এর নিকট ভুলতথ্য উপস্হাপন করা ।

৮০।     ফাইলে নোট দেয়ার ক্ষেত্রে দায়িত্ব এড়ানো ।

৮১।     অযোগ্য ব্যক্তিকে সুযোগ সুবিধা দেয়া ।

৮২।     সমস্যা সমাধানে অযথা কালক্ষেপন করা ।

৮৩।    কাজের ক্ষেত্রে যান্ত্রিক মনোভাব অনুসরণ করা ।

৮৪।     অফিসে একলা চল নীতি গ্রহণ করা ।

৮৫।     অফিসে অফিসের টাকায় নিয়মিত খানাপিনা করা ।

৮৬।    অফিসে বসে অহেতুক খোশগল্প করা ।

৮৭।     প্রকাশ্যে সরকারের সমোলোচনা করা ।

৮৮।    বাইরের লোকের সামনে অফিসের গোপন তথ্য আলোচনা করা ।

৮৯।     ঘুষ দাবী করা বা গ্রহণ করা ।

৯০।     দুর্নীতিবাজ কর্তৃপক্ষের ভয়ে ন্যায়সংগত কাজ থেকে বিরত থাকা ।

৯১।     কারও ভয়ে অন্যায়কে অন্যায় না বলা ।

 

          (ঙ) রাষ্ট্রের প্রতি দায়িত্ব

 

৯২।     ব্যক্তি স্বার্থ উদ্ধারের জন্য দেশের স্বার্থ বিলীন করা ।

৯৩।     দায়িত্ব পালনে পলায়নকর মনোভাব প্রদর্শন করা ।

৯৪।     দুর্নীতিবাজদের সাথে সম্পর্ক রাখা ।

৯৫।     দলীয় রাজনীতি সমর্থন করা ।

৯৬।     ইচ্ছাকৃতভাবে বিভ্রান্তিমূলক তথ্য প্রদান করা ।

৯৭।     রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সাথে অনুচিত সম্পর্ক স্হাপন করা ।

৯৮।     টেলিফোনে সরকারী গোপনীয় আলাপ করা ।

৯৯।     সরকারীভাবে যে বিষয়ে জ্ঞাত হওয়া প্রয়োজন নাই , সে বিষয়ে আগ্রহ দেখানো ।

১০০।   সরকারী অর্থ বিধি বহির্ভূতভাবে খরচ করা ।

১০১।   সরকারী অর্থ খরচের সঠিক হিসাব না রাখা ।

 

          (চ) সরকারী সম্পত্তি ব্যবহার

১০২।   অফিসের যানবাহন ব্যবহারের  সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কে অমূলক প্রত্যাশা বা চাহিদা পোষণ ও এর অপব্যবহার করা ।

১০৩।   সরকারী সম্পত্তি আত্মসাৎ করা ।

১০৪।   সরকারী অর্থ অপচয় করা ।

১০৫।   সরকারী যানবাহন ব্যক্তিগত কাজে যথেচ্ছ ব্যবহার করা ।

১০৬।   সার্কিট হাউজে অবস্হানকালে সরকারী দ্রব্যাদি অসাবধানে ব্যবহার করা ।

১০৭।   সার্কিট হাউজে ভাড়া পরিশোধ না করা ।

১০৮।   সরকারী সম্পত্তি ব্যবহার উদাসীনতা ও অসাবধানতা প্রদর্শন করা ।

 

          (ছ) সাধারণ জনগণের প্রতি আচরণ

১০৯।   জনগণের প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শন করা ।

১১০।   সাধারণ মানুষের সাথে অশালীন ব্যবহার করা ।

১১১।    অপেক্ষারত সাক্ষাৎপ্রার্থীকে দীর্ঘক্ষণ বসিয়ে রেখে অহংকার প্রদর্শন করা ।

১১২।   ভিজিটরদের সাথে দুর্ব্যবহার করা ।

১১৩।   দর্শণার্থীদের প্রতি অবহেলা প্রদর্শন করা ।

১১৪।    গরীবদের ঘৃণ্য করা ও ধনীদের তোষামোদ করা ।

 

          (জ) উর্ধ্বতন ও নিয়ন্ত্রণকারী কর্মকর্তার প্রতি আচরণ

১১৫।   জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের আইনসংগত আদেশ-নিষেধ অগ্রাহ্য করা ।

১১৬।   উর্ধ্বতন কর্মকর্তার ন্যায়সংগত তিরস্কারের জন্য মনোক্ষুন্ন হয়ে ক্ষোভ পোষণ করা ।

১১৭।    উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে সালাম বিনিময় না করা এবং অসৌজন্যমূলক আচরণ করা ।

১১৮।   নিয়ন্ত্রণাধীন কর্মকর্তার অযথা বিরুদ্ধাচরণ করা ।

১১৯।   উর্ধ্বতন কর্মকর্তার সাথে উপযাচক হয়ে অপ্রয়োজনীয় ও অপ্রাসংগিক কথা বলা ।

১২০।   জরুরী কাজের ক্ষেত্রে নিজ দায়িত্বের প্রতি অবহেলা প্রদর্শন করা এবং উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে কাজের অগ্রগতি না জানানো ।

১২১।   উর্ধ্বতন কর্মকর্তার আইন সম্মত নির্দেশ প্রত্যাখান করা এবং অহেতুক প্রতিবাদ জানিয়ে পরিবেশ জটিল করা।

১২২।   সিনিয়র কর্মকর্তাদের সাথে তর্ক করা ।

১২৩।   উর্ধ্বতন কর্মকর্তার সাথে পথ চলার সময় তার আগে-আগে চলা ।

১২৪।   উর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে সমালোচনা বা নিন্দা করার মানসিকতা দেখানো ।

১২৫।   উর্ধ্বতন কর্মকর্তার সাথে অধঃস্তন কর্মকর্তার কৃত্রিম, শীতল ও গম্ভীর সম্পর্ক বজায় রাখা ।

১২৬।   উর্ধ্বতন কর্মকর্তা কোন কাজে কৈফিয়ত তলব করলে এতে ক্ষুব্ধ হওয়া ।

১২৭।   উর্ধ্বতনের সাথে অপ্রয়োজনীয় সাক্ষাৎকার করা।

১২৮।   অফিসের বসকে কারো বিরুদ্ধে বিক্ষুব্ধ হতে প্ররোচিত করা ।

১২৯।   নিয়ন্ত্রণকারী কর্মকর্তা ডেকে পাঠালে যথাসময়ে হাজির না হওয়া ও অহেতুক বিলম্ব করা ।

 

          (ঝ) শিষ্টাচার

১৩০।   অশালীন আচার-আচরণ করা ।

১৩১।   অফিসে বা সাধারণ মানুষের সাথে অহংবোধে উদ্বুদ্ধ হয়ে অশালীন ব্যবহার করা ।

১৩২।   সহকর্মীদের প্রতি কটুক্তি, ব্যঙ্গ উক্তি, অসংযত মন্তব্য বা ভাবভংগী প্রকাশ করা ।

১৩৩।   সহকর্মীদের সাথে অসামঞ্জস্যপূর্ণ আচরণ করা ।

১৩৪।   উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করা ।

১৩৫।   কাউকে হেয় করা ।

১৩৬।   মহিলা সহকর্মীর প্রতি এমন কোন আচরণ করা যার প্রেক্ষিতে তিনি অস্বস্তিকর বা বিব্রতকর পরিস্হিতির সম্মুখীন হন ।

১৩৭।   যেখানে সেখানে থু-থু ও ছেঁড়া কাগজপত্র ফেলা ।

১৩৮।   গাড়ীর চালক বা অর্ডারলীর সাথে দুর্ব্যবহার করা ।

১৩৯।   অপরিচিত ব্যক্তির সাথে দুর্ব্যবহার করা ।

১৪০।   মহিলাদের প্রতি অমার্জিত আচরণ করা ।

১৪১।    মহিলা ও পুরুষ সহকর্মীদের সমান গুরুত্ব না দেয়া বা মহিলাদের অসম্মান করা ।

১৪২।   উর্ধ্বতন অফিসারের সাথে কথা বলার সময় পকেটে হাত রাখা, দাঁত দিয়ে নখ কাটা, পা দোলানো ইত্যাদি।

১৪৩।   কুরুচিপূর্ণ কথা বলা ।

১৪৪।    নতুন কর্মস্হলে যোগদান করে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে দেখা না করা ।

১৪৫।   কাউকে নন-গেজেটেড কর্মচারী বলে  অবহেলা করা ।

১৪৬।   অফিসে ধুমপান করা ও পান চিবানো ।

১৪৭।    কোন সহকর্মীর প্রতি পক্ষপাতিত্ব দেখানো ।

১৪৮।   অন্য কর্মকর্তার টয়লেট বিনানুমতিতে ব্যবহার করা ।

১৪৯।   অন্য কর্মকর্তার ফোন বিনানুমতিতে ব্যবহার করা ।

১৫০।   অফিসে বিলাসিতা প্রদর্শনা করা ।

১৫১।   ময়লা ও নোংরা পোশাক পরিধান করা ।

 

          (ঞ) সামাজিক দায়িত্ব

১৫২।   নিজের সামাজিক ও পারিবারিক পরিবেশ সম্পর্কে উদাসীন থাকা ।

১৫৩।   ব্যক্তিগত ও সামাজিক কাজে দাপ্তরিক ক্ষমতার অপপ্রয়োগ করা ।

১৫৪।   আত্মকেন্দ্রিক হওয়া ।

১৫৫।   অফিসের কাজে ক্ষতি হয় এমনভাবে সকলের সাথে বন্ধুত্ব গড়ার প্রবণতা দেখানো ।

১৫৬।   সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও সামাজিক দায়িত্ব পালনে অনীহা প্রদর্শন করা ।

১৫৭।   সামাজিক সমাবেশে নিজেকে বিচ্ছিন্ন রাখা ।

১৫৮।   ঘরোয়া অনুষ্ঠানে অস্বাভাবিক পরিবেশ সৃষ্টি করা ।

১৫৯।   প্রতিজ্ঞা করে তা ভংগ করা ।

১৬০।   অহংকার/অহমিকা প্রদর্শন করা ।

১৬১।   খারাপ লোকদের সাথে বন্ধুত্ব করা ।

১৬২।   মদ ও জুয়ার আড্ডায় গমন করা

১৬৩।   বিলাসী জীবন যাপন করা ।

১৬৪।   আয়ের অধিক ব্যয় করা ।

১৬৫।   সাম্প্রদায়িক মনোভাব পোষণ করা ।

১৬৬।   কারো বংশ/সম্প্রদায় দিয়ে কটাক্ষ করা ।

১৬৭।   নিজস্ব ক্যাডারের ভাবমূর্তির প্রতি সচেতন না থাকা ।

১৬৮।   সত্য কথা বলতে ভয় করা ।

 

          (ট) বিবিধ

১৬৯।   মহিলা সহকর্মীদের প্রতি বেশী খাতির দেখানো ।

১৭০।   অফিসে বসে মদ ও নেশা দ্রব্য খাওয়া ।

১৭১।    মহিলাদের প্রতি চারিত্রিক দুর্বলতা প্রদর্শন ।

১৭২।   কথায় ও কাজে বা ইশরায় অফিসের মহিলা সহকর্মীদের অবহেলা করা ।

১৭৩।   নির্দিষ্ট পোশাক ছাড়া এবাদত হবেনা এমন গোড়ামী প্রদর্শন করে প্যান্ট/সার্ট/টাই/স্যুট পরলে ধর্ম নষ্ট হবে এমন ধারণা পোষণ করা ।

১৭৪।    নিজের অজান্তে অফিসে সকলের সামনে দাঁত খেলাল করা, নাকের ময়লা বের করা ও কান পরিষ্কার করা।

১৭৫।   খেতে বসে বা খাওয়ার পর শব্দ করে ঢেঁকুর তোলা ।

১৭৬।   বুকে খাওয়ার সময় অপরকে ঠেলে দিয়ে খাওয়া নেয়া ও টেবিলে প্লেট রেখে খেতে গিয়ে অন্যের অসুবিধা করা।

১৭৭।    নিজেকে বেশী ধার্মিক ও সৎ হিসাবে অহংকার প্রদর্শন করা ।

১৭৮।   অফিস কক্ষে থেকেও টেলিফোন না ধরা এবং মিটিং এর নামে মিথ্যা বলা ।